শ্রম আইন
Submitted By Md. Mongur Ali Shikder
Department : Law & Justice
Programme : LL. B (Hon's)
Course titles : Labour & Industrial Law
Topic : Make analysis on “daily and weekly working hour with female”,” Rules on closure of shop”,“ matter deductable from wages”,” Grounds of non liabilities of employer to pay compensation and various amount ranges of compensation in accidents”, “power and function of Labour Court, Director of Labour and Chief inspector”
ভূমিকা :
শ্রম আইন 2006 অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, শ্রমিক এবং মালিকের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো সমাধানের লক্ষ্যে। অত্র আইনে 354 টি প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিক রয়েছে নিম্নে টপিকে সংশ্লিষ্ট ধারাগুলো আলোচনা করা হলো-
দৈনিক কর্মঘন্টা :
ধারা 100 তে বলা হয়েছে কোন প্রতিষ্ঠানে প্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিক দৈনিক 8 বেশি কাজ করবেন না বা করানো যাবে না।
শর্ত :তবে 108 ধারা সাপেক্ষে দৈনিক 10 ঘন্টা কাজ করতে পারবেন।
সাপ্তাহিক কর্মঘন্টা :
ধারা 102 (1) তে বলা হয়েছে, কোন প্রতিষ্ঠানে প্রাপ্তবয়স্ক কোন শ্রমিক সপ্তাহে 48 ঘন্টা কাজ করবেন বা করানো যাবে, অধিক নয়।
(2) তে বলা হয়েছে 108 ধারা সাপেক্ষে সপ্তাহে 60 ঘন্টা কাজ করানো যাবে।
শর্ত :
তবে প্রতি বৎসরে সাপ্তাহিক গড়ে 56 ঘন্টার অধিক কাজ করানো যাবে না।
আরও শর্ত থাকে যে কোন সড়ক পরিবহন শ্রমিক এর ক্ষেত্রে প্রতিবছরের ঘরে অতিরিক্ত কর্মঘন্টা 150 ঘন্টার অধিক হইবে না।
আরও শর্ত থাকে যে সরকার লিখিত আদেশ দ্বারা উক্ত কর্মঘন্টা শিথিল করিতে পারিবেন।
মহিলা শ্রমিকের জন্য সীমিত কার্য ঘন্টা :
ধারা 110 বলা হয়েছে, মহিলা শ্রমিকের বিনা অনুমতিতে রাত 10 ঘটিকা হইতে সকাল ছয়টা পর্যন্ত কোনো কাজ করানো যাবে না।
দোকান, ইত্যাদি বন্ধ :
ধারা 114(1) তে বলা হয়েছে, প্রত্যেক দোকান বা বাণিজ্য শিল্প প্রতিষ্ঠান সপ্তাহে অন্তত দেড় দিন বন্ধ থাকবে।
উপধারা (2) তে বলা হয়েছে সপ্তাহের কোন দেড় দিন বন্ধ থাকবে তা প্রধান শ্রম পরিদর্শক নির্ধারণ করবেন।
উপধারা (3) বলা হয়েছে, কোন দোকান কোন দিন রাত্রি 8 ঘটিকার পর খোলা রাখা যাবে না।
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত সময়ে দোকানে গ্রাহক থাকে অব্যবহতি আধা ঘণ্টা পর্যন্ত গ্রাহকের কেনাকাটার জন্য সুযোগ দেয়া যাবে।
উপধারা (5) বলা হয়েছে, এই ধারার বিধানাবলী নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না যথা;
ক) ডগ, জেটি, স্টেশন, বিমানবন্দর, পরিবহন সার্ভিস টার্মিনাল অফিস,
খ) তরি তরকারি, মাছ, মাংস, দুগ্ধজাতীয় সামগ্রী, রুটি, মিষ্টি এবং ফুল বিক্রির দোকান,
গ) ঔষধ এবং চিকিৎসাসংক্রান্ত সরঞ্জাম বিক্রির দোকান,
ঘ)দাফোন অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সামগ্রী বিক্রয় দোকান,
ঙ) তামাক, সিগারেট বিড়ি,পান খবরের কাগজ, সাময়িকী বিক্রির দোকান,
চ) খুচরা পেট্রোল বিক্রি ও মোটর গাড়ি সার্ভিস স্টেশন,
ছ) নাপিত এবং ক্যাশ প্রসাধনীর দোকান,
জ) ময়লা নিষ্কাশন এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা,
ঝ) যে কোন শিল্প, ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান যা থেকে শক্তি, আলো, বাতাস পানি সরবরাহ করে,
ঞ) ক্লাব, হোটেল, রেস্তোরাঁ,যেকোনো খাবার দোকান, সিনেমা, থিয়েটার,
মজুরি হইতে কর্তন যোগ্য বিষয়াদি :
ধারা 125(1)বলা হয়েছে, এই আইন দ্বারা অনুমোদিত ক্ষেত্র ব্যতীত অন্য কোনো ক্ষেত্রে শ্রমিকের মজুরি হইতে কর্তন করা যাবে না।
(2) এই আইনের বিধান অনুযায়ী নিম্নলিখিত ক্ষেত্র অনুযায়ী শ্রমিকের মজুরি হইতে কর্তন করা যাবে;
ক) অত্র আইনের 25 ধারা মোতাবেক জরিমানা,
খ) কর্তব্য ধানে অননুমোদিত অনুপস্থিতির জন্য কর্তন,
গ) কোন শ্রমিকের কর্তব্যের জন্য সরাসরি দায়ী এরকম সম্পত্তি বিনষ্ট ক্ষতি বা লোকসান এর জন্য কর্তন,
ঘ) মালিক কর্তৃক সরবরাহকৃত বাসস্থানের জন্য কর্তন,
ঙ) চাকরির জন্য ব্যবহৃত কাঁচামালের ব্যতীত সরকার কর্তৃক অনুমোদিত মালিকের প্রদত্ত সুবিধাসমূহঃ এর জন্য কর্তন,
চ) কর্জ বা অগ্রিম আদায়ের জন্য কর্তন, অথবা অতিরিক্ত মজুরি প্রদানের ফলে সমন্বয়ের জন্য কর্তন,
ছ) শ্রমিক কর্তৃক প্রদেয় আয়কর বাবদ কর্তন,
জ) কোন আদালত কর্তৃক অথবা ঐরূপ ক্ষমতাসম্পন্ন কর্তৃপক্ষের আদেশ কর্তৃক কর্তন,
ঝ) ভবিষ্য তহবিল 1925 এবং আয়কর আইন 1984 কর্তৃক স্বীকৃত কোন চাঁদা বা অগ্রিম আদায় কর্তন,
ঞ) বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোন সমবায় সমিতি চাঁদা বা ডাক বিভাগ বা কোনো সরকারি বীমা কোম্পানিকে প্রদেয় কোন স্কিম কর্তন,
ট) শ্রমিক অথবা তাদের পরিবারের কল্যাণার্থে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত মালিক কর্তৃক গঠিত কোন তহবিলে প্রদেয় স্কীম শ্রমিকের লিখিত সম্মতিতে কর্তন,
ঠ) চেক অফ পদ্ধতিতে সিবিএ ইউনিয়নের জন্য চাঁদা কর্তন।
কর্তব্যে অনুপস্থিতির জন্য মজুরি কর্তন :
ধারা 126 (1) বলা হয়েছে, ধারা 125 (2)(খ)তে বর্ণিত ক্ষেত্রে শ্রমিকের মজুরি কর্তন তখনই করা যাবে চাকরির নিয়োগ শর্ত মোতাবেক নির্দিষ্ট সময়ে বা কোন অংশে অনুপস্থিত থাকার দরুন।
(2) কর্মে অনুপস্থিতির দরুন মজুরি কর্তনের ক্ষেত্রে উক্ত সময়ের মজুরির অধিক কর্তন করা যাবে না।
ব্যাখ্যা : কর্মে অনুপস্থিত বলে গণ্য হইবে যদি অযুক্তিক বা ধর্মঘটের কারণে কর্মে যোগদান হতে বিরত থাকে।
ক্ষতি বা বিনষ্টির জন্য মজুরি কর্তন :
ধারা 127(1) বলা হয়েছে,ধারা 125(2)গ)তে শ্রমিকের গাফিলতি বা অবহেলা জনিত কারণে সংগঠিত ক্ষতির পরিমাণের বেশি কর্তন করা যাবে না। উক্ত কর্তন ততক্ষণ পর্যন্ত করা যাবে না যতক্ষণ না ন্যায় বিচারের নীতি অনুসরণ করে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে দুষিসাব্যস্ত না করা হয়।
ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য মালিকের দায়িত্ব :
ধারা 150(1) বলা হয়েছে চাকুরি চলাকালীন সময়ে উহা হতে উদ্ভূত দুর্ঘটনার ফলে কোন শ্রমিকের শরীরে জখমপ্রাপ্ত হলে এই অধ্যায়ের অধীন মালিক কর্তৃক ক্ষতিপূরণ প্রাপ্ত হবেন।
(2) মালিক উক্তরূপ ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকিবেন না, যদি;
ক) জখম এর ফলে কোন শ্রমিক তিনদিনের অধিক সময় স্থায়ী বা আংশিক কর্মক্ষমতা না হারান,
খ) জখম এর ফলে মারা যান নাই এরূপ কোন শ্রমিকের দুর্ঘটনায় জখম প্রাপ্ত হওয়ার প্রত্যক্ষ কারণ ছিল;
a) দুর্ঘটনার সময় জখম মদ্যপান বা মাদকদ্রব্য সেবনের ফলে প্রভাবাধীন ছিল,
d) শ্রমিকগণের নিরাপত্তার জন্য বিধি দ্বারা সুস্পষ্ট আদেশ শ্রমিকপ্রতি ইচ্ছাকৃতভাবে অমান্য করে,
C) শ্রমিকগণের নিরাপত্তায় সেফটি সরঞ্জাম বা অন্যকোন কৌশল শ্রমিক ইচ্ছাকৃত অপসারণ করা,
3) যদি-
ক) তৃতীয় তফসিলের ক অংশে বর্ণিত চাকুরীতে নিযুক্ত কোন শ্রমিক উহাতে উক্তরূপ চাকুরী সম্পর্কিত বিশেষ পেশাজনিত ব্যাধি বলিয়া উল্লেখিত কোন ব্যাধিতে আক্রান্ত হন ,
খ) কোন শ্রমিক অবিচ্ছিন্নভাবে কোন মালিকের অধীনে অনুন্য 6 মাস তৃতীয় তফসিলের খ অংশে বর্নিত কোন চাকরিতে থাকাকালীন সময়ে উক্ত তফসিলে উক্তরূপ চাকুরী সম্পর্কে বিশেষ পেশাজনিত ব্যাধি বলিয়া উল্লেখিত কোন ব্যাধিতে আক্রান্ত হন,
(4) সরকার সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা অন্য কোন চাকুরী যোগ করলে এবং উক্ত পেশার বিশেষ পেশা জনিত ব্যাধি যোগ করিলে তাহাও পেশাজনিত ব্যাধি বলিয়া গণ্য হইবে,
( 5) উপধারা 3ও 4 এ বর্ণিত ব্যতীত অন্য কোন পেশা জনিত ব্যাধির জন্য ক্ষতিপূরণ প্রাপ্ত হইবেন না যদি প্রত্যক্ষভাবে চাকরিতে যোগদানের ফলে উদ্ভূত দুর্ঘটনায় জখম প্রাপ্ত না হয়,
(6) কোন শ্রমিক উল্লেখিত জখমের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবি উত্থাপন করিতে পারিবেনা যদি মালিকের বিরুদ্ধে বা অন্য কারো বিরুদ্ধে জখমের জন্য দেওয়ানি আদালতে মামলা করেন,
(7) কোন আদালতে জখম এর ক্ষতিপূরণের জন্য মামলা করা যাবে না যদি;
(ক) জখমের ক্ষতিপূরণের জন্য শ্রম আদালতে দরখাস্ত করে,
(খ) শ্রমিক ও মালিক এর মধ্যে জখমের বিষয়ে কোনো চুক্তি হলে।
ক্ষতিপূরণের পরিমাণ :
ধারা 151 (1) তে বলা হয়েছে এই অধ্যায়ের বিধান সাপেক্ষে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ হবে নিম্নরূপ যথা;
ক) যে ক্ষেত্রে মৃত্যু হয় সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকটি পঞ্চম তফসিলে বিধান মোতাবেক (এক লক্ষ টাকা) ক্ষতিপূরণ পাবে,
শর্ত , উক্ত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ চাকরি হতে স্বাভাবিক ছাঁটাই, বরখাস্ত, অবসান পদত্যাগ জনিত ক্ষতিপূরণের অতিরিক্ত হইবে,
খ) a) জখম এর ফলে স্থায়ী অক্ষমতার জন্য তফসিলে বর্ণিত মোতাবেক ক্ষতিপূরণ বাবদ (1 লক্ষ 25 হাজার টাকা)পাবে,
গ)যে ক্ষেত্রে জখমের ফলে স্থায়ী আংশিক অক্ষমতা হলে;
a) জখমটি প্রথম তফসিল বর্ণিত হইলে, স্থায়ী সম্পূর্ণ অক্ষমতা হানির প্রদেয় ক্ষতিপূরণের শতকরা হার যাহা উল্লেখিত উপার্জন ক্ষমতা হানির শতকরা হারের সমান,
ঘ) যে ক্ষেত্রে জখমের ফলে সম্পূর্ণ বা আংশিকঅস্থায়ী অক্ষমতা ঘটে সে ক্ষেত্রে মাসিক ক্ষতিপূরণ যাহা অক্ষমতা চার দিন অতিবাহিত হলে যে মাসে প্রদেয় হইবে উহার পরবর্তী মাসের প্রথম দিনে প্রদেয় হইবে এবং যাহার স্বল্প হইবে তাহা মাসিক ভিত্তিতে প্রদেয় হইবে।
2) যে ক্ষেত্রেএকই দুর্ঘটনার কারণে একাধিক জখম হয় সে ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ এমন হইবে না যেন স্থায়ী অক্ষমতার ক্ষতিপূরণ হতে বেশি হয়।
3) কোন মাসিক ক্ষতিপূরণ প্রদানের তারিখের পূর্বে যদি অক্ষমতার অবসান ঘটে তাহা হইলে উক্ত মাসে ক্ষতিপূরণ সম্পর্কে প্রদেয় ক্ষতিপূরণ হইবে উক্ত মাসের অক্ষমতা থাকাকালীন ক্ষতিপূরণের আনুপাতিক হারে।
শ্রম আদালতের ক্ষমতা ও কার্যাবলী :
অত্র আইনের 215 (1) ধারায় বলা হয়েছে, অপরাধ বিচারের ক্ষেত্রে শ্রম আদালত যতদূর সম্ভব ফৌজদারি কার্যবিধির সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি অনুসরণ করবেন।
(2) এই আইনের অধীন অপরাধ বিচারের ক্ষেত্রে শ্রম আদালতের, ফৌজদারি কার্যবিধির( 129)প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা প্রথম শ্রেণীর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের সমান ক্ষমতা থাকবে।
(3) উপধারা 2এ যাহা-কিছুই থাকুক না কেন শাস্তি প্রদানের উদ্দেশ্যে সেশন আদালতের ন্যায় সমান ক্ষমতা শ্রম আদালতের থাকিবে।
(4) শ্রম আদালত অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে আদালতের কোনো সদস্য ছাড়া বিচারকার্য পরিচালনা করিবেন।
অপরাধ বিচার ছাড়া অন্য ক্ষেত্রে শ্রম আদালতের ক্ষমতা ও কার্যাবলী ছাড়া অন্য কোনো বিচারে ক্ষেত্রে শ্রম আদালতের ক্ষমতা ও কার্যাবলী :
ধারা 216 (1)তে বলা হয়েছে অপরাধ ব্যতীত এই আইনের অধীন অন্য কোনো বিষয়ে, প্রশ্ন বা বিরোধীদের বিচার নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে শ্রম আদালত একটি দেওয়ানী আদালত বলে গণ্য হইবে এবং দেওয়ানী কার্যবিধির অধীন সকল ক্ষমতা শ্রম আদালতের নিম্নবর্ণিত ক্ষমতাসহ থাকবে;
ক) কোন ব্যক্তিকে উপস্থিতি এবং শপথাধীন জবানবন্দী এবং সাক্ষ্য প্রদানের বাধ্য কর,
খ)কোন দলিল বা বস্তু হাজির করিতে বাধ্য করা,
গ)সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বা দলিল দলিল পরীক্ষার জন্য কমিশন প্রেরণ করা,
ঘ) কোন পক্ষের অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে মামলায় একতরফা সিদ্ধান্ত প্রদান করা,
ঙ) একতরফা সিদ্ধান্ত বাতিল করা,
চ) কোন পক্ষের অনুপস্থিতির কারণে প্রদত্ত মামলা খারিজের আদেশ বাতিল করা,
ছ) মামলার উদ্দেশ্য ব্যাহত রোদ করার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন যেকোনো আদেশ দিতে পারে,
(2) দলিল বা অন্য কোনো ক্ষেত্রে কোর্ট ফি প্রয়োজন নেই,
(3) শ্রম আদালত যেকোন উপায়ে মামলার প্রতিপক্ষকে 10 দিনের মধ্যে লিখিত জবাব বা আপত্তিপেশ করার নির্দেশ দিবেন,
(4) শ্রম আদালত যুক্তি লিপিবদ্ধ করে উল্লেখিত সময় সর্বমোট 7 দিন বর্ধিত করিতে পারিবে,
(5) সংশ্লিষ্ট পক্ষ উল্লেখিত সময় অথবা বর্ধিত সময়ের মধ্যে সভাপতি পেশ করতে ব্যর্থ হলে শ্রম আদালত একতরফা শুনানির মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তি করিতে পারিবে,
(6) কোন পক্ষের আবেদনক্রমে সর্বমোট সাতদিনের অধিক মামলার শুনানি স্থগিত রাখতে পারবে না,
তবে শর্ত থাকে যে উভয়পক্ষের আবেদনক্রমে সর্বমোট দশদিন মামলার শুনানি স্থগিত রাখতে পারবে,
(7) যদি মামলা দরখাস্তকারী মামলা শুনানির দিন অনুপস্থিত থাকে তাহলে মামলা খারিজ হয়ে যাবে,
তবে শর্ত থাকে যে মামলা খারিজের আদেশের তিন মাসের মধ্যে দরখাস্তকারী আবেদনক্রমে মামলার খারিজ আদেশ বাতিলের অত্র আদালতের এখতিয়ার থাকব,
(8) মামলার প্রতিপক্ষ শুনানি তারিখে অনুপস্থিত থাকে তাহলে আদালত শুনানির মাধ্যমে মামলাটি একতরফা নিষ্পত্তি করিবে,
(9) কোন মামলা খারিজ হওয়ার কারণে, যে কারণে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল ওই একই কারণে, নতুন মামলা দায়ের করা বারিত হইবে না যদিনা মামলাটি অন্য কোন কারণে বারিত হয়,এবং খারিজ হওয়ার তিন মাস পর দায়ের করা হয়,
(10) যদি মামলার উভয়পক্ষ মামলাটি প্রত্যাহার করার জন্য শ্রম আদালতে দরখাস্ত করে তাহলে আদালত এই মর্মে যদি সন্তুষ্ট হয়, উভয় পক্ষ বিরোধ আপোষ হয়েছে তাহলে শুনানির মাধ্যমে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিবেন।
(11) শ্রম আদালতের রায় প্রকাশ প্রকাশ করিতে হইবে এবং এর একটি কপি সংশ্লিষ্ট উভয়পক্ষকে প্রদান করিতে হইবে।
(12) শ্রম আদালতের রায় মামলা দায়েরের তারিখ হইতে 60 দিনের মধ্যে প্রদান করিতে হইবে যদি না উভয়পক্ষ সময় বৃদ্ধির জন্য আবেদন করে।
তবে শর্ত থাকে যে উক্ত রায় বিলম্বে প্রদানের জন্য অবৈধ হবে না।
শ্রম আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপীল :
217 ধারায় বলা হয়েছে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আপীল ট্রাইব্যুনালে আপীল করতে পারবেন।
শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনাল :
ধারা 218 তে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ একটি শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনাল থাকবে, সরকার সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন প্রকাশের মাধ্যমে একজন চেয়ারম্যান যিনি সুপ্রিম কোর্টের কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত বিচারক অথব অতিরিক্ত বিচারক, এবং উহার সদস্যগণ তিন বছরের অভিজ্ঞ কোন জেলা জজ প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্য দ্বারা গঠিত হইবে।
শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনালের সকল শ্রম আদালতের উপর কর্তৃত্ব থাকবে।
উপ দ্বারা বারতে বলা হয়েছে ট্রাইবুনাল যদি জেলের অথবা দুইশত টাকার উর্ধে জরিমানার আদেশ দেয় তাহা হইলে এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করতে পারেন।
শ্রম পরিচালক ও পরিদর্শক :
ধারা 317 (1)/তে বলা হয়েছে সরকার সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা একজন শ্রম ও পরিচালক নিয়োগ প্রদান করিবেন এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক অতিরিক্ত ও যুগ্ন ও উপ ও সহকারি শ্রম পরিচালক এবং শ্রম কর্মকর্তা নিয়োগ করবেন।
শ্রম পরিচালকের ক্ষমতা ও দায়িত্ব :
ধারা 317(3) তে বলা হয়েছে, সকল অতিরিক্ত শ্রম পরিচালক যুগ্ম শ্রম পরিচালক উপ শ্রম পরিচালকসহকারি শ্রম পরিচালক এবং সহকারী শ্রম কর্মকর্তার উপর শ্রম পরিচালকের নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানের ক্ষমতা থাকবে।
ধারা 317(4) বলা হয়েছে শ্রম পরিচালক নিম্নরূপ ক্ষমতা ও দায়িত্ব পালন করিবেন যথা;
ক) ত্রয়োদশ অধ্যায় মোতাবেক ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রিকরণ এবংরেজিস্টার রক্ষণ,
খ) কোন অপরাধ বা কোন অসৎ শ্রম আচরণের জন্য বা ত্রয়োদশ অধ্যায়ের কোন বিধান ভঙ্গের জন্য শ্রম আদালতে অভিযোগ পেশ করন।
গ) কোন প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠান পুঞ্জ সম্পর্কে ট্রেড ইউনিয়ন যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি তাহা নির্ধারণ
ঘ) ট্রেড ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী নির্বাচন ও গোপন কোনো নির্বাচন তত্ত্বাবধান,
ঙ)কোন শিল্প বিরোধের সালিশ হিসেবে কর্তব্য পালন
চ)অংশগ্রহণকারী কমিটির কার্যতত্ত্বাবধায়ন
ছ)এবং এই আইন ধারা অর্পিত অন্য কোন দায়িত্ব পালন।
(5) শ্রম পরিচালক লিখিত বা সাধারণ আদেশ অথবা বিশেষ কোনো আদেশ দ্বারা তার অধঃস্তন কর্মকর্তাদের বা পরিচালকদের উপর দায়িত্ব অর্পণ করিতে পারিবেন।
শ্রম প্রধান পরিদর্শক এর ক্ষমতা ও কার্যাবলী :
ধারা 318(1) বলা হয়েছে এই আইনের উদ্দেশ্যে সরকার সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা একজন প্রধান শ্রম ও পরিদর্শক এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক উপপ্রধান ও সহকারি প্রধান এবং সহকারী পরিদর্শক নিয়োগ করিতে পারিবেন।
(3)প্রাধান পরিদর্শকের উপর এই আইনের অধীন প্রদত্ত ক্ষমতা ব্যতীত সারা বাংলাদেশে তাহার প্রধান পরিদর্শকের ক্ষমতা থাকিবে।
(4) উপ- প্রধান পরিদর্শক সহকারী প্রধান পরিদর্শক , পরিদর্শক ও সহকারী পরিদর্শক এর উপর প্রধান পরিদর্শকের নিয়ন্ত্রণ এবং তত্ত্বাবধানে থাকবে।
ধারা 319 (1) প্রধান পরিদর্শক তার প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা সহ নিম্নবর্ণিত কার্য পরিচালনা করবেন-
ক)বলা হয়েছে প্রধান পরিদর্শকের বিবেচনায় কোন প্রতিষ্ঠান বা আঙ্গিনায় নৌযান বা যানবাহনে যুক্তি সংগত সময়ে তার অবস্থান কর্মকর্তাদের পরিদর্শন পরীক্ষা কার্য পরিচালনা করবেন,
খ) এই আইন মোতাবেক রক্ষিত কোন রেকর্ড নথিপত্র দলিল-দস্তাবেজ তলব করা, আটক করা, নকল করা পরিদর্শন করা পরীক্ষা করা,
গ) কোন প্রতিষ্ঠান কোন শ্রমিক এই আইনের অধীন প্রদত্ত কোন বিধি-বিধান যথাযথভাবে মানা বা পালন করা হইতেছে কিনা তা পরীক্ষা অনুসন্ধান করা,
ঘ)কোনো প্রতিষ্ঠানে অব্যাবহিত দুই মাসের মধ্যে চাকরিতে নিযুক্ত আছেন বা ছিলেন এইরূপ কোন লোকের এই আইনের অধীন কোন বিধান প্রবিধান সম্পর্কে জবানবন্দি গ্রহণ,
ঙ) পরীক্ষা বা জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে এইরূপ ব্যক্তির নিকট হতে সত্যতা প্রতিপাদনের জন্য সাক্ষ্যগ্রহ,
চ) মালিক কর্তৃক রক্ষিত কোন রেজিস্টার নথিপত্র নোটিশ দলিল-দস্তাবেজ বা অন্য কোনো কাগজপত্র সম্পর্কে তাহার অথবা তাহার নির্দিষ্ট দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তির নিকট থেকে ব্যাখ্যা তলব করা,
ছ)এই আইনের অধীন অন্য কোন আরোপিত দায়িত্ব কর্তব্য পালন করা।
(2) এই আইনের অধীন কোন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যে প্রবেশ পরিদর্শনের কাজে সহযোগিতা বা অন্য কোন সহযোগিতার ক্ষেত্রে উক্ত মালিক ব্যবস্থা করে দিবন।
(3) এই আইনের অধীন পরিদর্শকের চাহিদা অনুযায়ী পরিদর্শন বা পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় কোন দস্তাবেজ দলিল বা অন্যকোন নথিপত্র সংশ্লিষ্ট মালিক সরবরাহ করিবেন।
(4) এই আইনের অধীন প্রয়োজনে কোন পরিদর্শক কোন মালিকের নিকট হতে প্রয়োজনীয় নথিপত্র দলিল-দস্তাবেজ ইত্যাদি আটক বা তলব করিতে পারিবে।
(5) এই আইনের অধীন প্রয়োজনে কোনো পরিদর্শন কোন শ্রমিকের অপরাধের জন্য শ্রম আদালতে অভিযোগ পেশ করিতে পারবেন।
(6) এই আইনের অধীন কোন পরিদর্শক কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান ,কারখানার নকশা অনুমোদন লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন,শ্রেণী পরিবর্তন ও সম্প্রসারণের অনুমোদনের জন্য সরেজমিনে পরিদর্শন সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন।
উপসংহার : উপরিউক্ত আলোচিত ধারাগুলো শ্রমিক-মালিক বিরোধ নিরসনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রতীয়মান হয় আর শ্রম আইন 2006 উভয়ের বিরোধ নিরসনের লক্ষ্যে প্রণীত হয় অতএব এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় যে আইনটি গুরুত্ব অপরিসীম।
অসাধারণ
উত্তরমুছুনVery good
উত্তরমুছুন