দেওয়ানী কার্যবিধি পার্ট ১



Submitted by Md Mongur Ali Shikder 

Topic: Make a comparative study on res judicata and res sub judice and
also different type of cost in civil suit.





ভূমিকা: দেওয়ানী কার্যবিধি 1908 একটি পদ্ধতিগত আইন। বারিত নয় সে সকল দেওয়ানী মামলা বিচার করবে আইন এতে বাদী এবং বিবাদী কে হতে পারবেন আরজি লিখন পদ্ধতি থেকে শুরু করে চূড়ান্ত ডিক্রীর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন ইহাতে 158 টি ধারা এবং 49 টি অর্ডার রয়েছে। দেওয়ানী মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি পর্যন্ত কোড অফ সিভিল প্রসিডিউর 1908 অধ্যায়নের গুরুত্ব অপরিসীম। 

উল্লেখ্য যে, দেওয়ানী মামালার ক্ষতিপূরণ তিন ধরনের হতে পারে যথা- ক নমিনাল বা নামমাত্র ক্ষতিপুরণ খ দাবীকৃত ক্ষতিপূরণ গ দৃষ্টান্তমূলক ক্ষতিপূরণ।  টপিকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করা হলো-

রেস সাব জুডিস বা মামলা স্থগিত রাখা:দেওয়ানী কার্যবিধি 1908 ধারা 10 -এবলা হয়েছে-
একই সাবজেক্ট মেটার নিয়ে
একই কজ অফ একশন নিয়ে
একই বাদী বিবাদীগনের মধ্যে
একই লিগেল রিপ্রেজেন্টিভদের মধ্যে
এখতিয়ার সম্পন্ন একই আদালতে বা
ভিন্ন কোন আদালতে কোন দাবির বিষয়ে চলমান মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলা দায়ের চলবে না।


রেস জুডিকেটা বা দুবারা দোষ: দেওয়ানী কার্যবিধি 1908 এর 11 ধারায় বলা হয়েছে যে 
একই subject-matter নিয়ে
একই কজ অফ একশন নিয়ে 
এখতিয়ার সম্পন্ন একই আদালতে বা ভিন্ন কোনো আদালতে
একই লিগেল রিপ্রেজেন্টিভদের মধ্যে
একই বাদী বিবাদীগনের মধ্যে চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হওয়া মামলা দুবার দায়ের চলবে না।


ব্যাখ্যা পূর্ববর্তী মামলা বলতে এমন মামলা বুঝাবে যা আলোচ্য মামলার পূর্বে অথবা পরে যখনই দায়ের করা হোক না কেন যার বিচার সম্পন্ন করা হয়েছে।


সুদ: অত্র আইনের 34 ধারায় বলা হয়েছে,
( ১) কোন বিষয়ে এবং টাকা পরিশোধ সম্পর্কিত ডিক্রি হলে স্থিরকৃত মূল অংশের উপর মামলা দায়েরের তারিখ হতে  ডিক্রি তারিখ পর্যন্ত সময়ের জন্য আদালতের বিবেচনায় সংগত হারে সুদ প্রদানের নির্দেশ দিতে পারে ইহা ছাড়াও মামলা দায়েরের পূর্ববর্তী কোন সময়ের জন্য এবং ডিক্রির তারিখ হতে টাকা পরিশোধের তারিখ পর্যন্ত আদালত মনে করিলে অতিরিক্ত সুদ প্রদানের নির্দেশ দিতে পারেন।

(২)আদালত ডিক্রি মামলা দায়েরের পূর্ববর্তী সময়ে এবং বিক্রির তারিখ হতে টাকা পরিশোধের তারিখ পর্যন্ত সময়ের জন্য অতিরিক্ত সুদের নির্দেশ না থাকলে ধরে নিতে হবে যে ঐরূপ অতিরিক্ত শোধ প্রদানে অস্বীকার  করেছেন এবং এই জন্য কোন  পৃথক মামলা দায়ের চলবে না।


দেওয়ানী মামলা ব্যয়: অত্র আইনের 35 ধারায় বলা হয়েছে

(১) বর্তমান বলবৎ কোন আইনের বিধান সাপেক্ষে কোন মামলার কি ধরনের খরচ বা মামলার ব্যয় নির্ধারণের পূর্ণ ক্ষমতা আদালতের থাকবে।

(২) যখন কোনো আদালত নির্দেশ দেন যে মামলার কোনো খরচ পরিমাণকে অনুসরণ করবে না তবে তার কারণ উল্লেখ করবেন।

(৩) আদালত মামলার খরচের উপরে অনধিক 6% বার্ষিক সুদ প্রদানের নির্দেশ দিতে পারেন ইহা খরচের ন্যায় আদায়যোগ্য হবে।


মিথ্যা বা বিরক্তিকর দাবি বা জবাবের ক্ষতিপূরণমূলক খরচ: 
অত্র আইনের 35ক ধারায় বলা হয়েছে-

(১) আপিল ব্যতীত কোনো মামলার বা জারি কার্যক্রমসহ অন্য কোনো কার্যক্রম এর ক্ষেত্রে কোন পক্ষ যদি দাবি বা প্রতিবাদীর জবাব মিথ্যা বা বিরক্তিকর বলে আপত্তি উত্থাপন করে পরে যদি উক্ত দাবি বা জবাব আপত্তি কারীর বিরুদ্ধে নামঞ্জুর হয় বা পরিত্যক্ত হয় তাহলে আদালত উপযুক্ত মনে করলে লিখিতভাবে কারণ দর্শায়ে উক্ত দাবি বা জবাব মিথ্যা বা বিরক্তিকর বলে আদেশ দিতে পারেন এবং যে পক্ষ এরূপ দাবী বা জবাব উত্থাপন করেছিল সেই পক্ষ কর্তিক আপত্তিকারীকে ক্ষতিপূরণমূলক  খরচ প্রদানের আদেশ দিতে পারে 20 হাজার টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণমূলক খরচ প্রদানের আদেশ দিতে পারেন। 


মামলার চলমান প্রক্রিয়ায় বিলম্বিত করার ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণমূলক খরচ:

অত্র আইনের ধারা 35খ তে বলা হয়েছে-(১) মামলা চলমান প্রক্রিয়া লিখিত কোনো দাবি বা কোন এপ্লিকেশন আদালতের নির্দিষ্ট সময়ে উত্থাপিত বা ফাইল করা না হলে এর ফলে হেয়ারিং এর বিলম্ব হতে পারে বলে আদালত মনে করিলে 2000 টাকা পর্যন্ত যে পক্ষ কর্তৃক বিলম্বিত হয়েছে সেই পক্ষ কর্তৃক ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে ক্ষতিপূরণমূলক খরচ প্রদানের আদেশ দিতে পারেন।

(২) কোন পক্ষ কর্তৃক মামলার লিখিত জবাব আদালতের নির্ধারিত সময়ের পরে ফাইলিং  করা হলে মামলার প্রসিডিংএ বিলম্বিত হয় আদালত মনে করিলে বিলম্বিত হয়েছে যেই পক্ষ কর্তৃক বিলম্বিত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেই পক্ষ কর্তিক ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে 3000 টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণমূলক খরচ প্রদানের আদেশ দিতে পারেন। ক্ষতিপূরণ না দিলে অ্যাপ্লিকেশন রিজেক্টেড হবে। 

উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় দেওয়ানী কার্যবিধি 1908 একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রসিডিউরাল আইন যা অধ্যয়নের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম মামলার বাদী বা আসামি কারা হবে আরজি কি ভাবে লিখতে হবে সমন ইস্যু এবং সর্বশেষ চূড়ান্ত ডিক্রী পর্যন্ত যাবতীয় পদ্ধতিগত বিষয়গুলো উক্ত আইনে স্পষ্ট ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। ফলে আইনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

If any doubt please let me know

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন

দেওয়ানীকার্যবিধি পার্ট ২

দণ্ডবিধি পার্ট ২