ফৌজদারি কার্যবিধি পার্ট ২

Submitted by Md Mongur Ali Shikder 


Topic: Explain the detail procedure of complaints to Magistrate. What’s things must be mentioned in a form of charge? Briefly discuss the trial procedure of cases by the session’s Court. Discuss the usual time limit for disposal of a Criminal case.







ভূমিকা : ফৌজদারি কার্যবিধি 1898 একটি পদ্ধতিগত আইন বলা যায় যেহেতু এতে 95% পদ্ধতিগত বিষয়ে আলোচনা করা হয়, উক্ত আইনে 565 ধারা রয়েছে অত্র আইনের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি প্রয়োগ এরিয়া, বিচারিক আদালতের এখতিয়ার, এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সন্দেহভাজন এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া, মামলার চলমান প্রক্রিয়া, রায়, আপিল, রিভিউ এবং রিভিশন, দন্ড কার্যকর করার পদ্ধতি ইত্যাদি ফলে অত্র আইন অধ্যায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। টপিকের সংশ্লিষ্ট ধারাগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো- 












ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট নালিশ : ফৌজদারী কার্যবিধি 1898 ধারা 200 বলা হয়েছে যে, নালিশের ভিত্তিতে কোন অপরাধ আমলে আনয়নকারী ম্যাজিস্ট্রেট সঙ্গে সঙ্গে ফরিয়াদিকে ও উপস্থিত স্বাক্ষীকে শপথপূর্বক জবানবন্দি গ্রহণ করিবেন এবং জবানবন্দির সারাংশ লিপিবদ্ধ করবেন এবং ফরিয়াদি বা এরুপ সাক্ষী ও ম্যাজিস্ট্রেট উহাতে স্বাক্ষর করবেন।

শর্ত ;  ক : যখন লিখিত নালিশ করা হয় তখন 192 ধারার অধীন মামলাটি হস্তান্তরের পূর্বে এরূপ জবানবন্দি গ্রহণের প্রয়োজন আছে বলে বর্ণিত নেই।

কক:  যখন লিখিত নালিশ করা হয় এবং কোন আদালত বা সরকারি কর্মচারী সরকারি কর্তব্য সম্পাদনের সময় নালিশ করেন তবে ফরিয়াদিকে জবানবন্দি গ্রহণের প্রয়োজন আছে বলে এখানে কিছুই বর্নিত নেই।

গ : 192 ধারার অধীন হস্তান্তরকারী ম্যাজিস্ট্রেট  ফরিয়াদি ও সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করে থাকেন তাহলে যে ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট মামলা স্থানান্তরিত হয়েছে সে ম্যাজিস্ট্রেট পুনরায় জবানবন্দি গ্রহণ করতে বাধ্য থাকবেন।

বিধি (১) নালিশটি কোন অবস্থাতেই পুলিশের নিকট পাঠাবেন না।ম্যাজিস্ট্রেট লিখিত অভিযোগ আমলে নিয়ে বাদিকে পরীক্ষা করবেন এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। (30 CAL 924)

বিধি (২) নালিশ দরখাস্তে তথ্যাদি লিখিতভাবে অবহিত থাকলেও বাদিকে অবশ্যই পরীক্ষা করবেন। (3 WN 17)















আমলে নেয়ার অনুপযুক্ত ম্যাজিস্ট্রেটের কার্য্য : অত্র 
201 ধারায় বলা হয়েছে,  

(১) যদি লিখিত নালিশ এখতিয়ারহীন ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট দাখিল করা হয় সেক্ষেত্রে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ আদালতে অভিযোগটি দাখিল করার মর্মে পৃষ্ঠাঙ্কন করে অভিযোগটি ফেরত দিবেন।

(২) নালিশ অলিখিত হলে ফরিয়াদিকে উপযুক্ত আদালতে প্রেরণ করবেন।

আমলে নেয়ার উপযুক্ত ম্যাজিস্ট্রেটের কার্য্য : ধারা 202 (১) বলা হয়েছে, আমলে নেওয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন ম্যাজিস্ট্রেট অপরাধের অভিযোগ পাওয়ার পর অথবা 192 ধারায় উহা হস্তান্তরিত হওয়ার পর তিনি যদি উপযুক্ত মনে করেন তাহলে কারণ লিপিবদ্ধ করে আসামিকে হাজির হতে বাধ্য হবার সমন বা পরোয়ানা প্রদান স্থগিত রাখতে পারেন এবং নালিশ এর সত্যতা বা অসত্যতা অনুসন্ধানের জন্য নিজে তদন্ত করতে পারেন অথবা তিনি যদি তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট না হন তাহলে অনুসন্ধানের জন্য তার অধিনস্ত অন্য কোন ম্যাজিস্ট্রেটকে বা পুলিশ অফিসারেরকে বা তিনি উপযুক্ত মনে করেন এরূপ অন্য কোন ব্যক্তিকে নির্দেশ দিবেন।

শর্ত : যেক্ষেত্রে আদালত নালিশ করেন সেক্ষেত্রে ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে 200 ধারার বিধান পালন না করে এরূপ কোন নির্দেশ দেয়া যাবে না।

আরও শর্ত থাকে যে, যদি ম্যাজিস্টেটের  নিকট প্রতীয়মান হয় যে নালিশটি দায়রা আদালতে বিচার্য তাহলে উক্ত বিবাদীকে হাজির হতে বাধ্য করার পরোয়ানা ইস্যু স্থগিত করে নালিশের সত্যতা বা অসত্যতা অনুসন্ধান করবেন বা করাবেন।

(২) এই ধারার অধীন যে ব্যক্তি তদন্ত বা অনুসন্ধান করবেন তিনি যদি পুলিশ অফিসার বা ম্যাজিস্ট্রেট না হন তাহলে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার ব্যতীত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।

(২ক) এই ধারার অধীন কোন ঘটনা তদন্তকারী ম্যাজিস্ট্রেট উপযুক্ত মনে করলে সাক্ষীদের শপথ করায়ে সাক্ষ্য গ্রহণ করাতে পারবেন।

শর্ত ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট যদি ইহা প্রতীয়মান হয় যে নালিশটি কেবল দায়র আদালতে বিচার্য তাহলে ফরিয়াদির সকল সাক্ষীদের শপথ  করায়ে সাক্ষ্য গ্রহণ করবেন।

(২খ) পুলিশ চূড়ান্ত রিপোর্ট দিলে ম্যাজিস্ট্রেট রিপোর্ট গ্রহন ও অভিযুক্তদের অব্যাহতি দিতে পারবেন।

বিধি : ইনকোয়ারিকালে বাদীপক্ষের সাক্ষী গ্রহণ করতে হবে। ফরিয়াদির নালিশ প্রমাণের সুযোগ দিতে হবে। আসামিদের প্রসিডিং এ সুযোগ দেয়া যাবে না। (14 CAL 141)




















ফরিয়াদির শপথপূর্বক বিবৃতি এবং অনুসন্ধান বা 
তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে ম্যাজিস্ট্রেটের কর্তব্য : 

ধারা 203 অনুসারে বলা হয়েছে, যে মেজিস্ট্রেটের নিকট অভিযোগ করা হয়েছে বা 192 ধারা অনুসারে হস্তান্তরিত হয়েছে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট ফরিয়াদির শপথপূর্বক বিবৃতি এবং অনুসন্ধান বা তদন্ত ফলাফলের ভিত্তিতে অগ্রসর হওয়ার মতো কারণ না থাকলে অভিযোগটি খারিজ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে এরূপ করার কারণ তিনি লিপিবদ্ধ করবেন।

বিধি: (১) পুলিশ রিপোর্টের ভিত্তিতে ম্যাজিস্ট্রেট মামলা খারিজ করলে জুডিশিয়াল আদেশ হবেনা এবং এর বিরুদ্ধে রিভিশন চলবে না। (23 DLR 6 WP)

(২) 202 ধারার অধীন তদন্তকারী ম্যাজিস্ট্রেট স্বাক্ষ্য চাপায়ে দেয়ার জন্য তদন্ত করবেন না এবং 203 ধারার অধীন বিচারকারী ম্যাজিস্ট্রেট 202 ধারার অধীন তদন্তের ভিত্তিতে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ রায় প্রদান করবেন।( 18 ডিএলআর 295)

(৩) বিচারকারী ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযুক্তদের অব্যাহতি দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে। (14 DLR 511)













আমলে আনয়নকারী ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যক্রম : 204 (১) ধারায় বলা হয়েছে, অপরাধ আমলে আনয়নকারী  ম্যাজিস্ট্রেট যদি মনে করেন মামলা অগ্রসর হওয়ার মতো পর্যাপ্ত কারণ আছে তাহলে আসামী হাজির হওয়ার জন্য সমন ইস্যু করবেন।আর যদি মনে করেন প্রথম পর্যায়ে পরোয়ানা দেওয়া উচিত তাহলে তিনি পরোয়ানা দিতে পারবেন।

(১ক) বাদীর পক্ষে সাক্ষীদের তালিকা দাখিল না করা হলে আসামিদের বিরোদ্ধে সমন বা পরোয়ানা ইস্যু করা যাবে না।
(১খ) লিখিত নালিশের উপর ভিত্তি করে সমন বা পরোয়ানার সাথে নালিশের একটি কপি সংযুক্ত করতে হবে।

(২) 90 ধারার কোনো কিছুকে প্রভাবিত করবে না।

(৩) সমন বা পরোয়ানার ফিস প্রদেয় না হলে সমন ইস্যু করা যাবে না বা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফি প্রদান না করলে মামলাটি খারিজ করা যাবে।
অভিযোগের ধরণ: 221 ধারায় বলা হয়েছে প্রত্যেকটি অভিযোগে আসামি যে অপরাধে অভিযুক্ত সে বিষয়ে স্পষ্ট বিবরণ থাকবে।যে আইনে অপরাধটি সৃষ্টি  হয়েছে তাতে উহার কোন নির্দিষ্ট নাম থাকলে সেই নামেই উল্লেখ থাকতে হবে। 









অপরাধে সময় তারিখ এবং স্থান সম্পর্কে : 222 ধারাতে বলা হয়েছে কথিত অপরাধের সময় এবং স্থান, যার বিরুদ্ধে অপরাধটি করা হয়েছে সেই ব্যক্তি যে বস্তু সম্পর্কে অপরাধ হয়েছে সে জিনিস সম্পর্কে এরূপ তথ্য থাকবে যাতে করে আসামি অবগত হতে পারে।


              








ফৌজদারী মামলার বিচার :



ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচার (241-250) 
সংক্ষিপ্ত বিচার (260-265) 
দায়রা আদালতের বিচার (265ক-265ঠ)








অব্যাহতি সম্পর্কে : 241ক ধারায় বলা হয়েছে, ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট তাকে হাজির করা হলে বা হাজির হলে ম্যাজিস্টেট মামলার নথি ও তৎসহ দাখিলকৃত যাবতীয় কাগজপত্র বিবেচনা করে প্রয়োজন মনে করলে আসামির জবানবন্দি গ্রহণ করে ফরিয়াদি ও আসামির বক্তব্য পেশ করার সুযোগ দান করে যদি মনে করেন অভিযোগ ভিত্তিহীন তাহলে আসামীকে অব্যাহতি দিবেন এবং এরুপ করার কারণ লিপিবদ্ধ করবেন।










অভিযোগ গঠন সম্পর্কে : ধারা 242 মতে, উপরিউক্ত বিবেচনা ও শুনানির পর ম্যাজিস্ট্রেট যদি এই অভিমত পোষণ করেন যে অভিযুক্ত অপরাধ করেছে বলে অনুমান করার কারণ আছে তাহলে অভিযুক্তকে যে অপরাধে অভিযুক্ত সেই সম্পর্কে ম্যাজিস্ট্রেট আনুষ্ঠানিক চার্জ গঠন করবে এবং তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে যে অপরাধে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে তিনি সেই অপরাধ করেছে মর্মে স্বীকার করে কিনা।















দায়রা আদালতের বিচার :265ক ধারায় বলা হয়েছে, দায়রা আদালতের প্রত্যেকটি মামলা পিপি সরকারের পক্ষে পরিচালনা  করবে।

ধারা 265খ বলা হয়েছে, 205 ধারায় আসামী হাজির হলে বা তাকে হাজির করা হলে পি.পি আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ বর্ণনার মাধ্যমে এবং যে সাক্ষের মাধ্যমে দোষ প্রমাণ করতে চাহেন তা বিবৃত করার মাধ্যমে নিজ বক্তব্য শুরু করবেন।

ধারা 265গ মামলার নথি এবং উহার সাথে দাখিলী দলিলাদি বিবেচনা এবং তৎসম্পর্কে আসামি ও সরকার পক্ষের বক্তব্য শ্রবণের পর আদালত যদি মনে করেন যে মামলা আসামির বিরুদ্ধে চালাইবার কোন হেতু নাই তাহলে আসামিকে অব্যাহতি দিবেন এবং এরুপ করার কারণ লিপিবদ্ধ করবেন।

ধারা 265ঘ (১) উপযুক্ত মতে বিবেচনা ও শুনানির পর যদি আদালত মনে করেন যে আসামী একটি অপরাধ করেছে বা এরূপ  মনে করার কারণ থাকে তাহলে লিখিত অভিযোগ গঠন করবেন।

(২) এক উপধারা ক্ষেত্রে অভিযোগ পড়ে আসামিকে শোনাতে হবে ও ব্যাখ্যা করতে হবে এবং জিজ্ঞাসা করতে হবে যে সে দোষ স্বীকার করে কিংবা বিচার প্রার্থনা করে।


ধারা 265ঙ আসামিদের দোষ স্বীকার করেন তবে আদালত তা লিপিবদ্ধ করবেন এবং বিচারিক ক্ষমতা বলে দণ্ডাজ্ঞা প্রদান করতে পারবেন।

ধারা 265চ আসামি যদি দোষ স্বীকার না করে বা বিচার প্রার্থনা করে বা 265ঙ ধারা অনুসারে দণ্ডপ্রাপ্ত না হয় তাহলে আদালত সাক্ষীদের সাক্ষ্য বা জবানবন্দি গ্রহণের দিন ধার্য করবেন এবং বাদী পক্ষেট আবেদনক্রমে যে সমস্ত দলিলাদি ও সাক্ষী উপস্থিত করা প্রয়োজন সেগুলো উপস্থিত করতে পরোয়ানা জারি করতে পারবেন।


ধারা 265ছ (১) ধার্য তারিখে আদালত বাদীপক্ষের সমর্থনের উপস্থিত সমস্ত সাক্ষ্য গ্রহণ করবেন।

(২) আদালত ইহার বিচারক ক্ষমতা বলে কোন একজন সাক্ষীর জেরা বা অন্যান্য সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ না করা পর্যন্ত স্থগিত রাখতে পারবে বা কোন একজন সাক্ষীকে জেরা করার উদ্দেশ্যে ডাকতে পারবেন।


ধারা 265জ বাদী পক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ ও আসামির জবানবন্দি গ্রহন এবং বাদী ও আসামিপক্ষের বক্তব্য শ্রাবনের পর আদালত যদি মনে করেন যে আসামি অপরাধ করেছে বলে এরূপ কোনো সাক্ষ্য নেই তাহলে খালাস দেওয়ার আদেশ লিপিবদ্ধ করবেন।

ধারা 265ঝ (১) যেক্ষেত্রে আদালত 265জ মতে আসামিকে খালাস দেয়া না হয় তাহলে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য বলতে হবে এবং কোন স্বাক্ষ থাকলে তা প্রদান করতে বলতে হবে।

(২) আসামি লিখিত কোনো বিবৃতি প্রদান করলে আদালত তা নথিভুক্ত করতে হবে।

(৩) আসামি কোনো সাক্ষী বা দলিলাদি আদালতে উপস্থিত করার জন্য পরোয়ানার আবেদন করে তাহলে আদালত যদি মনে  করে যে তা বিরক্তি বা বিচারিক কার্যক্রম বিলম্বিত করা ও ন্যায়বিচার ব্যাহত করবেনা তাহলে উক্ত আবেদন মঞ্জুর করবেন। 


ধারা 265ঞ আসামিপক্ষের সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ করার পর প্রসিকিউটর তার বক্তব্যের সারসংক্ষেপ পেশ করবেন এমন আসামি বা তাহার কৌসুলী হওয়ার উত্তর প্রদানের অধিকারী হবেন।

শর্ত আসামির কৌসুলী কোন আইনগত প্রশ্ন উত্থাপন করলে প্রসিকিউটর আদালতের অনুমতি ক্রমে তার বক্তব্য পেশ করতে পারবে।


ধারা 265ট যুক্তিতর্ক বা আইনের পয়েন্ট শ্রবণের পর আদালত মামলার রায় প্রদান করবেন।













মামলা নিষ্পত্তির সময়

ধারা 339গ (১) বলা হয়েছে কোন ম্যাজিস্ট্রেট মামলা প্রাপ্তির তারিখ হতে 180 দিনের মধ্যে মামলা অবশ্যই নিষ্পত্তি করবেন।

(২) কোন দায়রা জজ, অতিরিক্ত দায়রা জজ, অথবা সহকারী দায়রা জজ মামলা প্রাপ্তির 360 দিনের মধ্যে অবশ্যই মামলা নিষ্পত্তি করবেন।

(২ক) 1 ও 2 উপধারায় যাই থাকুক না কেন যখন কোনো আসামি একাধিক মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট ও দায়রা আদালতে বিচারের সম্মুখীন হয় সেক্ষেত্রে সময় গণনা ধারাবাহিক ভাবে চলবে।

(২খ) মামলা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে 1 এবং 2 উপধারার বর্ণিত সময় হবে মামলার সময়।

(৪) নির্ধারিত  সময়ের মধ্যে যদি বিচারকার্য সম্পন্ন করা না যায় তাহলে আদালতে ভিন্নরূপ নির্দেশ না দিলে জামিন অযোগ্য আসামীদেরকে জামিন দেয়া যাবে।

(৫) দন্ডবিধির 400 এবং 401 ধারায় বর্ণিত অপরাধের মামলার ক্ষেত্রে এবং 34শ অধ্যায়ঃ বিচার্য মামলার ক্ষেত্রে এই ধারার কোনো কিছুই প্রযোজ্য হবে না।

(৬) জামিনে মুক্তি পেয়ে আসামির পলায়ন করিলে যে সময় ব্যয় হয় তাহা গণনা হতে বাদ দিতে হবে।










উপসংহার : পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে ফৌজদারী কার্যবিধি 1898 পদ্ধতিগত আইন যা অধ্যায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।



মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

If any doubt please let me know

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন

দেওয়ানীকার্যবিধি পার্ট ২

দণ্ডবিধি পার্ট ২